Tuesday, October 10, 2017

ছেলেটা কি ভুল সিদ্ধান্ত নিল?

মেয়ে:-আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-কেন?
মেয়ে:-কারন আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারব না।
ছেলে:-তাহলে এই দুইবছর কেন আমার সাথে কাটিয়েছো???
মেয়ে:-আমি দুই বছর ভুলে যেতে চাই।
ছেলে:-আমার দোষ কি যে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে........???
মেয়ে:-তোমার কোন দোষ নেই।
ছেলে:-তাহলে.?
মেয়ে:- তাহলে কিছুই না , তুমি আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-আমি কি দেখতে খারাপ..?এই জন্য ছেড়ে চলে যাবে??
মেয়ে:-তা না।
ছেলে:-তাহলে কেন ছেড়ে যাবে?
মেয়ে:-কারন বলতে পারব না।তুমি আমাকে প্লিস ভুলে যাও।
ছেলে:-আমিত তোমাকে ভুলে যাবার জন্য ভালবাসিনি।আমি তোমাকে জীবন সাথী করার জন্য ভালবেসেছি।
মেয়ে:-কিন্তু আমি তোমার জীবন সাথী হতে পারবো না।ভুলে যাও আমাকে।
ছেলেটা মেয়েটার হাতটা কাছে টেনে নিয়ে।
ছেলে:-কেন? আমার দোষটা বল।
মেয়েটা তার হাতটা হেচকা টান দিয়ে
মেয়ে:-কারন তোমার চাকরি নেই।
ছেলেটা পকেটে থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটার বের করে মেয়ের হাতে দিয়ে
ছেলে:-দেখ গতকাল আমার চাকরি হয়েছে।ত্রিশ হাজার টাকা বেতন।
মেয়ে:-তবুও আমি তোমাকে ভালবাসতে পারব না।
ছেলে:কিন্তু কেন?
মেয়ে:-কারন তুমি বিয়ের পর আমাকে নিয়ে তোমার মা বাবার সাথে থাকবে কিন্তু আমি এটা সহ্য করতে পারব না।কারন তোমার মা বাবা সারাদিন খুক খুক করে কাশে এটা আমার ভাল লাগে না।
ছেলে:-অফিস থেকে আমাকে
একটা ফ্লাট দেয়া হয়েছে সাথে একটা গাড়ি।
মেয়ে:-সত্যি।আমি তোমাকে ভালবাসি।
ছেলে:-কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি না।
মেয়ে:-একটু আগে না বললে ভালোবাসি।এখন আবার এ কথা বলছ কেন?
ছেলে:-একটু আগে আসল কারনটা
জানতাম না।
মেয়ে:-প্লিস এমন করনা।আমাদের দুইবছরের সম্পর্ক এভাবে নষ্ট কর না।
ছেলে:-আসলে তুমি আমাকে
ভালোবাসতে পারনি।তুমি ভালোবেসেছ টাকাকে।আর যে নারী বিয়ের পর তার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের পিতামাতার মতই আপন করে নেয় না তাকে আমার প্রয়োজন নেই।
ছেলেটা এটা বলে মেয়ের হাত থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটারটা নিয়ে দুই বছরের সম্পর্ক নষ্ট করে
চলে গেল।😆😭
ছেলেটা কি ভুল সিদ্ধান্ত নিল?

Monday, October 9, 2017

কম বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ?

অনেকে ভাবেন অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে না। এটা বৃদ্ধদের রোগ। আসলে তা নয়। নানা কারণেই অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। ইদানীং অপেক্ষাকৃত কম বয়সে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিচ্ছে। এ জন্য নানা বদ অভ্যাসও দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সেটা শিশু-কিশোরদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।
অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়া বিচিত্র নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত কোনো রোগ বা কারণ আছে কি না, তা খুঁজে দেখা উচিত। কম বয়সে হঠাৎ রক্তচাপ বাড়তি পাওয়া গেলে কিছু বিষয় মাথায় আনা দরকার। যেমন:
*  বংশগত কিডনি রোগ, কিডনির প্রদাহ, ত্রুটিপূর্ণ কিডনি, কিডনির রক্তনালির সমস্যা বা কিডনির টিউমার হলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে।
* শরীরের প্রধান রক্তনালিতে সংকোচন বা কোনো সমস্যা, যা সাধারণত জন্মগত হয়ে থাকে
* হরমোনজনিত সমস্যা (যেমন-থাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল বা পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা)
* মস্তিষ্কের টিউমার বা জন্মগত ত্রুটি
* মাদক সেবন
* লুপাস, রক্তনালির প্রদাহ (ভাসকুলাইটিস) ইত্যাদি
*  দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন
যেহেতু উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো উপসর্গ নেই আর অল্প বয়সে কেউ নিয়মিত রক্তচাপ মাপে না, তাই অনেক সময়ই এই সমস্যা ধরা পড়ে না। পরে হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক বা কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। ছোটদের কিডনিপ্রদাহ উচ্চ রক্তচাপের প্রধানতম কারণ। শিশুদের লালচে প্রস্রাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শরীরে পানি আসা এই সমস্যার লক্ষণ। আবার থাইরয়েডের সমস্যা কিশোরী, তরুণীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া, মাসিকে সমস্যা, গর্ভপাত ইত্যাদি হলে অল্প বয়সে থাইরয়েডের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৭ হাজার পদে আবেদন ১০ লাখের বেশি

রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ হবে ৭ হাজার ৩৭২ কর্মকর্তা। আর এ জন্য আবেদন করেছেন ১০ লাখের বেশি প্রার্থী। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নিয়োগসংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) বলছে, ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে এর আগে একসঙ্গে এত প্রার্থী আবেদন করেননি।
সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদনের জন্য টাকা না লাগা, বেশি বেতন, চাকরির নিশ্চয়তার কারণে এত বিপুল আবেদন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত দুই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকে পৃথক তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার পদে ১ হাজার ৬৬৩ কর্মকর্তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর এই পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ প্রার্থী। চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে আরও ২ হাজার ২৪৬ জন কর্মকর্তার বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৫২ প্রার্থী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকে কর্মকর্তা পদে ৩ হাজার ৪৬৩ জন নিয়োগের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৮১ হাজার প্রার্থী। মোট ৭ হাজার ৩৭২ কর্মকর্তা নিয়োগের বিপরীতে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
এত বিপুল আবেদনের কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) প্রধান মোশাররফ হোসেন খান বলেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কারণে আবেদন বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে আবেদন বাড়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এ জন্য কোনো টাকা লাগছে না।
চাকরি হিসেবে আকর্ষণীয় হওয়ায় ব্যাংকে আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, বেশি বেতন, চাকরির নিশ্চয়তা, নানা ধরনের ঋণ–সুবিধা থাকার কারণে ব্যাংকের চাকরি তরুণদের প্রথম পছন্দ। তবে আবেদন বাড়ার আরেকটি কারণ বেকারত্ব।
ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের পরীক্ষা নেওয়া হবে ঢাকায়। একসঙ্গে এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খালি পাওয়া অনেক কঠিন। তারপরও আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিনটি নিয়োগ পরীক্ষার মধ্যে একটির পরীক্ষা নিতে চাই।’ এ ছাড়া অন্য পরীক্ষাও কম সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ

ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যায় থেকে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্যানেল।
ভারতের ১০টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে চলতি বছরের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পাঁচটি বিশেষ অডিট টিম বা প্যানেল গঠন করে। এর মধ্যে একটি প্যানেল বেনারস ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তদন্ত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেল তাদের লিখিত প্রতিবেদনে বলেছে, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে এ ধরনের দুটি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাঞ্ছনীয় নয়।
কমিটি ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কমিটি বলেছে, শুধু ‘বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়’—এই নাম রাখা যেতে পারে।
পাশাপাশি কমিটি এ কথাও বলেছে, প্রয়োজনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম দেওয়া যেতে পারে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খান। আর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ সালে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দুটির নাম বদলের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা নাম বদলের কোনো চিন্তা করছি না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি।’

Saturday, October 7, 2017

ভয়াবহ যানজটের ১০ শহর

প্রতিদিন সকাল আর সন্ধ্যায় কী খান? ডাক্তার জানতে চাইলেন রোগীর কাছে। রোগীর উত্তর, ‘আর কিছু থাক না থাক, জ্যাম তো থাকেই!’ এটা কৌতুক নয়, ঢাকাবাসীর নিদারুণ বাস্তবতা। পাঁউরুটিতে জ্যাম-জেলি নাও থাকতে পারে, জ্যাম বা যানজট সবার জন্যই বরাদ্দ। যদি তিনি অফিসযাত্রীদের একজন হন।
ঢাকা শহরে যানজট আসলেই কতটা ভয়াবহ, তা অন্য শহর দিয়ে ঠিকমতো তুলনা করা গেল না। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের ভয়াবহ যানজটের শহরের তালিকা দিয়েছে। এ নিয়ে গবেষণা করেছে ইনরিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ট্রাফিক স্কোরকার্ড প্রকাশের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে ৩৮টি দেশের ১ হাজার ৬৪টি শহরের ওপর গবেষণা চালিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহর ছিল না। ফলে অন্যদের তুলনায় ঢাকা শহর কোথায় অবস্থান করছে, তা জানা যাচ্ছে না।
তবে গত জুলাইয়ে বিশ্বব্যাংক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই শহরে এখন ঘণ্টায় গড়ে প্রায় সাত কিলোমিটার গতিতে চলছে যানবাহন। বিশ্বব্যাংক বলছে, এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর হেঁটেই গাড়ির আগে যেতে পারবে মানুষ। যানজটের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। যানবাহনের পরিমাণ যদি একই হারে বাড়তে থাকে এবং তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সালে এই শহরে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম। মানুষের হাঁটার গড় গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বলে মনে করা হয়।
এখান থেকে ইনরিক্সের ইনডেস্কের তুলনা করা যায়। তাদের হিসাব বলছে, গত বছর যানজটে বড় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির শহর ছিল ডাবলিন। এখানে ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির গড় গতি থাকে ৭.৫ কিলোমিটার, সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে যেটি সর্বনিম্ন ৫.৫ কিমিতে নেমে আসে। ডাবলিনের চেয়ে ঢাকার অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক তো নয়ই! অবশ্য সবচেয়ে ধীর গতির শহর হচ্ছে মেক্সিকোর ওয়াহাকা। ৫.৯ কিলোমিটার গড় গতি থাকে যানবাহনের। হেঁটে যাওয়াই ভালো!

সূত্র: ইনরিক্স, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম
ভয়াবহ যানজটের ১০ শহর (বছরে কত ঘণ্টা ব্যয় হয় জ্যামে):
শহর
কত ঘণ্টা
লস অ্যাঞ্জেলেস
১০৪.১
মস্কো
৯১.৪
নিউ ইয়র্ক
৮৯.৪
সান ফ্রান্সিসকো
৮২.৬
বোগোতা
৭৯.৮
সাও পাওলো
৭৭.২
লন্ডস
৭৩.৪
ম্যাগনিতোগোর্স্ক
৭১.১
আটলান্টা
৭০.৮
প্যারিস
৬৫.৩

নোবেলজয়ীরা কত টাকা পায়, জানেন?


জীবদ্দশায় ৩৫৫টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছিলেন আলফ্রেড নোবেল। সুইডিশ এ বিজ্ঞানীর বড় ভাই লুডভিগ ১৮৮৮ সালে ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়ে মারা যান। কিন্তু ফরাসি এক দৈনিক ভুল করে আলফ্রেড নোবেল মারা গেছেন ভেবে নিয়ে শিরোনাম করে, ‘মৃত্যুর সওদাগর মারা গেছেন’। যেহেতু নোবেলের অধিকাংশ আবিষ্কারই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, তাই এমন শিরোনাম। নোবেল তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, মৃত্যুর পর ইতিহাস তাঁকে কীভাবে মনে রাখবে।
আর তাই জীবদ্দশায় করে যাওয়া অনেকগুলো উইলের মধ্যে শেষ উইলে নোবেল উল্লেখ করেন যে তাঁর সব সম্পদ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে, যাঁরা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন। এ জন্য নোবেল তাঁর মোট সম্পদের ৯৪ শতাংশ উইল করে যান, যা এখন নোবেল পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০১ সালে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠান ও ৮৮১ জন্য ব্যক্তি জিতেছেন ভীষণ 


সম্মানজনক এ পুরস্কার।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের বলা হয় ‘নোবেল লরিয়েট’। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, সেটা ছিল ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের। এরপর থেকে ১৮ ক্যারেট ‘সবুজ স্বর্ণে’র ধাতবের ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া পদক দেওয়া হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের। এ ছাড়া একটি সনদ এবং মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় নানাভাবে অবদান রাখা মহানায়কদের। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, নোবেলজয়ীরা ঠিক কত টাকা পুরস্কার পান?
গত বছর নোবেল বিজয়ীদের নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় আট কোটি টাকা। নোবেল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বছর নগদ অর্থের পরিমাণ হবে ১১ লাখ ডলার, মানে ৯ কোটি টাকার কিছু বেশি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুইডেনের স্টকহোমে নগদ অর্থপুরস্কার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নোবেল ফাউন্ডেশন।
টাকার চেয়ে সম্মান অবশ্যই বড়। কিন্তু নোবেল এমনই এক পুরস্কার, যেখানে টাকার অঙ্কটাও হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। যদিও অনেক নোবেল বিজয়ী তাঁদের পুরস্কার জয়ের টাকা দাতব্যকাজে দান করে দেন। সূত্র: সিএনএন।

Sponsor