আন্তর্জাতিক

  • ক্ষমতা হারাতে পারেন ট্রাম্প

রাশিয়ার সাথে কানেকশন নিয়ে তদন্তের জেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক বিশ্লেষক জন শিন্ডলার খবর ইনডিপেনডেন্টের
খবরে বলা হয়, জন শিন্ডলার বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিঘ্নিত করতে রাশিয়ার উদ্যোগের সঙ্গে ট্রাম্প টিমের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে জবাবদিহিতার মুখে পড়েন ট্রাম্প, তাহলে এতে তার প্রেসিডেন্সির ইতি ঘটে যেতে পারে।  
তিনি আরো বলেন, যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান বা না চান, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।
ট্রাম্প টিমের রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্ত করছে এফবিআই, কংগ্রেস এবং নিরপেক্ষ তদন্তকারীরা। তারা তদন্তে যা পাবেন তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন শিন্ডলার।  

 

ক্ষমতা হারাতে পারেন ট্রাম্প!

আরও পারমানবিক অস্ত্র চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর অভিবাসন নীতি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এবার জানালেন আরও পারমানবিক অস্ত্র চাই তার পারমানবিক অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার গড়ে তুলতে চান তিনি খবর মেট্রো ইউকে'
রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পারমানবিক অস্ত্র মজুদের দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। তাই, সবাইকে ছাড়িয়ে সব চেয়ে বড় মজুদ গড়ে তুলবেন তিনি।
ট্রাম্পের ওভাল অফিসে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, আগামী বছরের মধ্যে তিনি পারমানবিক অস্ত্রের মজুদের দিক থেকে রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যেতে চান।
আর খবরে উদ্বেগ বেড়েছে অন্যান্য পারমানবিক শক্তিধর দেশের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর। পারমানবিক অস্ত্রের মজুদের প্রতিযোগিতা শুরু হলে সেটা কারও জন্য মঙ্গল হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

আরও পারমানবিক অস্ত্র চান ট্রাম্প
আরও পারমানবিক অস্ত্র চান ট্রাম্প
আরও পারমানবিক অস্ত্র চান ট্রাম্প

ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞা আটকে দিলেন আদালত

 

 সিরিয়াসহ সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সাময়িক স্থগিত করেছেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিক ফেডারেল আদালত।

শনিবার দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) এক আবেদনে আদালতের বিচারক অ্যান ডানলি এ আদেশ দেন। খবর বিবিসির।

শুক্রবার অভিবাসন সীমিত করতে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই আদেশ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি চার মাস স্থগিত করা হয়েছে। আর ৯০ দিনের জন্য সিরিয়াসহ ছয়টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের লোকজনের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অন্য মুসলিম দেশগুলো হল- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

তবে এ নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও বিমানবন্দরের বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিবাদ করেন।

ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ)।

সংগঠনটি বলছে, আদেশ জারির পর সাতটি দেশের ১০০ থেকে ২০০ ভিসাধারী নাগরিক বিমানবন্দরে অথবা ট্রানজিটে আটকা পড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিমানবন্দরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ অাদেশ দেন।

অভিবাসী অধিকার প্রকল্পের আইনবিষয়ক উপপরিচালক লি গের্লান্ট আদালতে অভিবাসীদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আদালতের বাইরে অনেকে তাকে সমর্থন জানান।

গেলার্ন্ট পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এসে কেউ যাতে আটকে না পড়ে আদালত সে ব্যবস্থা নেবেন। আদালত সরকারকে আটকে পড়াদের নামের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

ফাঁকা আসনে অন্যরা বসতে পারবেন: ট্রাম্প

 


ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদের অভিষেক অনুষ্ঠান বর্জনের হিড়িকে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন্তিত নন বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তেমনটাই প্রতীয়মান হয়। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বক্তব্যের মর্মার্থ হলো—কিছু লোক তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে না এলে তাতে তিনি খুশি। কারণ, ফাঁকা আসনগুলোতে অন্যদের বসতে দেওয়া যাবে।
ট্রাম্প বলেন, যত লোক না আসবে, তত ভালো। কারণ, আসনের খুব সংকট। অভিষেকে যাঁরা আসবেন না, তাঁরা তাঁদের টিকিটগুলো তাঁকে দিয়ে দেবেন বলে আশা ট্রাম্পের।
ক্ষমতা হস্তান্তর-প্রক্রিয়ায় যুক্ত ট্রাম্পের দলও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, কোনো ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা অভিষেক অনুষ্ঠানে না এলে তাঁর আসনটি ফাঁকা থাকবে। ফাঁকা আসনগুলো অন্যদের দেওয়া যাবে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা জন লুইসসহ অন্যদের নিয়ে ট্রাম্পের ‘আক্রমণাত্মক মন্তব্যের’ প্রতিবাদে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্যদের একাংশ ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের অভিষেক বর্জন করতে যাওয়া ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতার সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে।
কাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিষেকে আট থেকে নয় লাখ লোক অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সংখ্যা বারাক ওবামার ২০০৯ সালের অভিষেকে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেক



সিআইএ'র গোপন নথিতে বাংলাদেশ: বিবিসির প্রতিবেদন



মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ যেসব অত্যন্ত গোপন নথি প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ, ভারতের সাথে সম্পর্ক, শীর্ষ দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া, এরশাদের শাসনামলসহ অন্যান্য প্রসঙ্গ রয়েছে। 
 
'টপ সিক্রেট' মার্ক করা কয়েক হাজার পৃষ্ঠার অত্যন্ত গোপনীয় এসব নথির একটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈরিতা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা রয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা। বিবিসির প্রতিবেদক শায়লা রুখসানার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য। পাঠকের জন্য বিবিসি'র সেই বিশেষ প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো:
 
বাংলাদেশে ভারতের সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের আশংকা
২৬শে নভেম্বর ১৯৭৫ সালের তারিখ দেয়া ওই দলিলের একটি অংশে উল্লেখ করা হয় যে, "বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা বিশেষ করে ভারতীয় হাই কমিশনারের আহত হওয়ার ঘটনা যা চরমপন্থিদের দ্বারা হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, যদিও সরকার দৃঢ়ভাবে তা নাকচ করে দিয়েছে, বিষয়টি দিল্লি এবং ঢাকার সম্পর্কের মধ্যে উত্তাপ বাড়িয়েছে"।
 
হাসিনা-খালেদা প্রসঙ্গ
কনফিডেনসিয়াল লেখা ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি নথিতে বলা হয়, ইউএস সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ কমিটির একজন কর্মকর্তা পিটার ডব্লিউ গ্যালব্রেইথ ওই বছরের ২৯শে জানুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে ব্যাক-টু-ব্যাক কল দিয়েছিলেন।
 
দুই নেত্রীই দাবি করেন, সবকিছুর আগে তখনকার প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। দু'জনই ৩রা মার্চ তারিখে নির্ধারিত সংসদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেন। দু'জনেরই একে অন্যের প্রতি ব্যক্তিগত অপছন্দের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
 
তাদের 'ঐকমত্য' ছিল কেবল 'একটি পয়েন্টে'। তা হল এরশাদের অপসারণ। এর বাইরে ঐক্যের কোনও অবস্থান নেই বলেও নথিতে বলা হয়।
 
এরশাদের ক্ষমতার শক্তি যুক্তরাষ্ট্র?
মার্কিন গোয়েন্দাদের এই গোপন নথিতেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুই নেত্রীই বিশ্বাস করতেন মার্কিন সহায়তা পাচ্ছেন এরশাদ। জনপ্রিয় যে মতটি প্রচলিত ছিল সেটাই তারা দুজনও বলেছেন। আর তা হল "যুক্তরাষ্ট্রই এরশাদকে ক্ষমতায় রেখেছে"।
 
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব কী
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের কী গুরুত্ব সেটাও উঠে আসে এই নথিতে। 'বাংলাদেশে কোনধরনের অস্থিরতা ভারতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীরা সেখানে আশ্রয় প্রত্যাশী হতে পারে' - এই বিষয়টি আমেরিকার বেশ মাথাব্যথার কারণ তা সিআইএ'র গোয়েন্দা রিপোর্টে পরিষ্কার।
 
এছাড়া বাংলাদেশে অস্থিরতার ঘটনা ঘটলে এই উপমহাদেশে তৎকালীন সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ অনধিকার চর্চার সুযোগ পাবে - যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের নথিতে সেই আশঙ্কা প্রকাশ পায়।
 
এরশাদকে হত্যার চেষ্টায় লিবিয়ার মদদ?
১৩ই জানুয়ারি ১৯৮৬। এই তারিখ উল্লেখিত সিআইএ'র দলিলে, লিবিয়ায় প্রশিক্ষণ পাওয়া একজন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। এর আগের একটি অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গেও সে জড়িত ছিল এবং ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে লিবিয়ার সহায়তা ছিল বলেও গোপন এ নথিতে তথ্য মিলেছে। রাষ্ট্রের মাধ্যমে লিবিয়া বিভিন্ন দেশে এভাবে সন্ত্রাস চালাত বলে সেখানে তথ্য রয়েছে।
 
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির নির্দেশে অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের গুলি করার জন্য। এসব ঘটনার "মুখ্য ষড়যন্ত্রকারী সৈয়দ ফারুক এরই মধ্যে তা স্বীকারও করেছেন" বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়। সিআইএ'র নথিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত আরও দুটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা তিনি করেছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে তিনি লিবিয়া চলে যান এবং একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি আবার ফিরে আসেন বাংলাদেশে।
 
নথিতে বলা হয়, লিবিয়ার এই ভূমিকায় কী প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা ছিল বাংলাদেশের সরকারের। কারণ দেশটিতে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজে নিয়োজিত থাকায় তাদের বহিষ্কারের ভয় ছিল। সেক্ষেত্রে আয়ের বড় একটি উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে লিবিয়ার অনেক কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশে।
 

No comments:

Post a Comment

Sponsor