Tuesday, April 3, 2018

বাঘের বাচ্চা


"বনে শিকার করতে গিয়ে এক শিকারী বনে একাকী পড়ে থাকা একটি ছোট বাঘের বাচ্চা পেলেন।
তারপর তিনি ঐ বাঘের বাচ্চাটিকে বাড়িতে এনে ভেড়ার পালের সাথে রাখলেন।
বাঘের বাচ্চাটি নিজের পরিচয় ভূলে গিয়ে নিজেকেও ভেড়ার বাচ্চা মনে করে ঐ পালেই বড় হতে লাগলো।
একদিন এক ক্ষুধার্ত বাঘ ঐ ভেড়ার পালে আক্রোমণ করতে গিয়ে দেখলো বাংলালিংকের মত ডোরা কাটা একটি
বাঘের বাচ্চাও ওদের সাথে ভয়ে দৌড়াচ্ছে।
তখন বাঘটি ক্ষুধা ভূলে গিয়ে ঐ পাল থেকে দাতে করে ঐ বাঘের বাচ্চাটিকে ধরে এনে বললোঃ
"এই তুই তো আমার জাত ভাই বাঘের বাচ্চা, তুই ভেড়ার পালে কেন?"
ঐতিহ্য ভূলে যাওয়া ঐ বাঘের বাচ্চাটি বললোঃ "না আমি বাঘের বাচ্চা নই, আমি ভেড়ার বাচ্চা ভেড়া।"
আবারো বাঘটি বললো তুই বাঘের বাচ্চা।
বাচ্চাটি পূণরায় বললোঃ
"আমি ভেড়ার বাচ্চা ভ্যাঁ ভ্যাঁ।"
তারপর বাচ্চাটিকে বাঘ একটি পানিভর্তি কুয়ার কাছে নিয়ে গিয়ে বললোঃ
'এবার কুয়ায় পানির মাঝে তাকিয়ে নিজের ছবি দেখতো তোর
চামড়া, হাতের নখ, মুখের আকৃতি সব কিছু আমার মত কিনা?'
বাচ্চাটি কুয়ার পানিতে নিজের ছবি দেখে বললোঃ "হাঁ তাইতো আমি তো আসলেই বাঘের বাচ্চা।"
এবার বাঘটি বললোঃ 'তুই বাঘের বাচ্চা হয়ে ভেড়ার পালের সাথে থেকে ভেড়াদের ঘুতা খাবি কেন?
তুই বাঘের বাচ্ছা বাঘ তুই গর্জন ছাড়বি ভেড়ারা পালানোর রাস্তা খুজে পাবেনা।'. . . . . . . .
যুবকেরা, তরুণেরা তোমরা ভেড়ার বাচ্চা নও।
তোমরা আল্লাহর সিংহ খ্যাত আলীর সন্তান, তোমরা শাহ জালালের সন্তান, খালিদ বিন ওয়ালিদের সন্তান।
ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে এসো তাহলে আবারো তোমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
তোমরা হুংকার ছাড়বে বাতিলরা
পালানোর রাস্তা খুজে পাবেনা।"" . . . . . .

Monday, April 2, 2018

জাতীয় খেলা কাবাডি কেন, জাতীয় খেলা"??"


এক বিদেশি লোক আমাদের দেশের এক স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করে....
"ভাই পৃথিবীতে এত খেলা থাকতে কাবাডি কেন তোমাদের "জাতীয় খেলা"??"

ছাত্রটি বলে:- "
কাবাডি খেলার একটি নিয়ম হচ্ছে কেউ যখন তার লক্ষ্যে পৌছাতে চায় বাকিরা সবাই তাকে টেনে হিচড়ে পিছনের দিকে টানে. যাতে সে ব্যর্থ হয়...!!
"আর আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের স্বভাব সেটাই...!!!"
"তাই কাবাডি আমাদের "জাতীয় খেলা".
collected

স্মৃতির পাতায়




স্মৃতির পাতায়
----------------------------
ধবধবে সাদা স্কুল ড্রেসের কলেজিয়েটের ছেলেটা আর গাঢ় নীল স্কুল ড্রেস পরা খাস্তগীরের মেয়েটা একদিন জামালখানের রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক করেছিলো একদিন তাঁদের খুব সুন্দর একটা বাড়ি হবে.... বাড়ির সামনে একটা ঘাসের লন। বারান্দায় ঝুলন্ত টবে সারি সারি অর্কিড.... গভীর রাতে তাঁরা চা'র কাপ হাতে বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখবে... ছেলেটা পড়বে আবুল হাসান বা শামসুর রাহমান।
স্বপ্নটা স্বপ্নের জায়গায় আছে.... পরিপাটি আছে জামালখানও। মাঝখানে নতুন বাতিঘর যুক্ত হয়েছে... রাস্তা পরিপাটি হয়েছে, পানির ফোয়ারা হয়েছে... আলোর ঝলকানি বেড়েছে... এই যা। শুধু ছেলেটা আর মেয়েটা নেই। মেয়েটা গভীর রাতে কোন এক মেডিক্যাল হোস্টেলের বারান্দার গ্রীলে মাথা ঠুকে প্রফের প্রিপারেশন নিচ্ছে.... আর ছেলেটা টিউশনি শেষে একহাত থেকে অন্য হাতে সিগারেট বদলাচ্ছে। এমনকি কারো মোবাইল নাম্বারটা পর্যন্ত নেই কারো ফোনে।
সবকিছু খুব দ্রুত বদলে যায়.... একসময় আমি পকেটের শেষ তিন টাকা দিয়ে নেভী সিগারেট ধরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে জিইসি থেকে বাসায় ফিরেছি। বেনসন বা গোল্ডলীফ ধরার মতো অবস্থা ছিলো না... আমার খুব ইচ্ছে করতো কারো পাশে বসে খুব দামী কোন রেস্টুরেন্টে একদিন লাঞ্চ করি.... আমি মানিব্যাগের হীনস্বাস্থ্যের কারণে পারি নি কখনো। এখন সামর্থ্য হয়েছে... কিন্তু সুযোগ আর নেই।
স্বপ্নগুলোর একটা এক্সপায়ারেশন ডেট থাকে.... গতকালকের স্বপ্নটা গতকাল পূরণ না হলে আজকে সকালে সেটা খুব অর্থহীন ছেলেমানুষী মনে হয়.... অথচ গতকাল সারাদিন কেটেছে স্বপ্নপূরণ হবার রোমাঞ্চকর আশা নিয়ে... আর সারারাত কেটেছে সেই স্বপ্নভঙ্গের কষ্টে।
চারপাশে মানুষ বদলে যাচ্ছে.... স্কুলের লাস্ট বেঞ্চে বসে সারাদিন দুষ্টুমি করে থাকা ছেলেদের বা মেয়েদের গ্রুপটা আর নেই। একজন আরেকজকে দেখেছি প্রায় বছর পাঁচেক। সবচেয়ে গম্ভীর ছেলেটা ভার্সিটির রাজনীতির পরিচিত মুখ... অথবা সবচেয়ে চটপটে মেয়েটা বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে চলে গেছে লন্ডন।
তবুও কিছু ছোট্ট জিনিস থেকে যায়.... যেমন কারো পছন্দের কোন গান... অথবা পরিচিত কোন পারফিউম। হুট করে শুনলে... অথবা গন্ধটা পেলে মনে পড়ে যায় পরিচিত মানুষটাকে। মাঝখানে যে'ই আসুক... নতুন মানুষ অথবা আটলান্টিক মহাসাগর। পুরোনো মানুষগুলোকে মনে পড়ে মাঝে মাঝে একটি দুটি বিকেল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়... পুরোনো রাগ-অভিমান, কোচিং ক্লাসের বাইরে ঝগড়াটা মনে পড়ে... মনে পড়ে সাদা শার্টে কলমের আঁকাআঁকি। মানুষগুলো হারিয়ে গেলেও আছে সেই সাদা অথবা গাড় নীল ইউনিফর্মগুলো... পুরোনো কাপড়ের ভাঁজে। কোন না কোন ড্রয়ারে।
(collected)

Tuesday, March 27, 2018

বৈশাখী সাজে ওরা


একসময় বৈশাখ মানেই ছিল মেলা। বৈশাখী মেলা। খোলা মাঠে থরে থরে সাজানো মাটির পুতুল, কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, হাওয়াই মিঠাই, বায়োস্কোপ আর নাগরদোলা। মা-বাবার হাত ধরে ছোট্ট শিশুর মেলাজুড়ে টইটই। ফেরার পথে এক হাতে মিছরির তৈরি একটা হাতি নয়তো ঘোড়া। গ্রামের দিকে টিকে থাকলেও শহুরে জীবনে এমন মেলা এখন বলতে গেলে উধাও। এই বৈশাখী মেলা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে শিশুদের, আর বায়নাও তাদের সবচেয়ে বেশি।

বিশেষ এই দিনটিতে বাড়ির ছোট সদস্যটিরও চাই রঙিন পোশাক। বৈশাখে শিশুকে কী পরাবেন, তা নির্ভর করবে অনেক কিছুর ওপর। কিন্তু কয়েকজন মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সন্তানের আরামকেই দিচ্ছেন প্রথম প্রাধান্য। আজকাল স্কুলগুলোতেই বৈশাখের অনুষ্ঠানে লাল–সাদা পোশাক পরতে বলা হয়। স্কুলের বেঁধে দেওয়া ড্রেস কোড অনুযায়ী সন্তানের বৈশাখের পোশাক কিনে ফেলতে পারেন। পয়লা বৈশাখ আর স্কুলের অনুষ্ঠানে আলাদা পোশাক পরাতে চান, তাহলে পয়লা বৈশাখের দিন বেগুনি, সবুজ, ম্যাজেন্টা, কমলা ও হলুদের মতো উজ্জ্বল রঙের সমন্বয়ে কোনো ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরাতে পারেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পোশাক হতে পারে শাড়ি বা সালোয়ার–কামিজ। ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, পায়জামা, ধুতি, টি-শার্ট বা ফতুয়া। চাইলে লুঙ্গিও পরাতে পারেন। এখন ফ্যাশনে সবাই চায় চলতি ধারা অনুসরণ করতে। তবে বড়দের ফ্যাশনে যত দ্রুত পরিবর্তন আসে ছোটদের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা নয়। বড়দের পোশাকের কিছু কিছু ধারাই বরং ঢুকে পড়ে শিশুদের পোশাকে। তবে শিশুদের পোশাকের ‘ট্রেন্ড সেটার’ মূলত মায়েরা। মা যেমন পোশাক পরাতে চান, শিশু তেমন পোশাকই পরবে। একজন মা-ই বোঝেন তাঁর শিশুকে কেমন পোশাক পরলে মানাবে, কোনটাতে তারা আরাম পাবে।

Monday, March 26, 2018

দলে চলে রাঙাচ্যাগা


প্রজনন মৌসুমে পুরুষটির পেটে ঘন-কালো রঙের একটা তুলির টান যেন মেরে দেয় প্রকৃতি। সেটা অক্টোবরের দিকে বাংলাদেশে আসার পরও থাকে কিছুকাল। এমনিতে এদের পিঠ-ডানার উপরিভাগ ও মাথার তালু ঘন লালচে-জলপাইরঙা, তার ওপরে ছোট-বড় কালচে ছিট ছোপ থাকে। বুক-পেট-পেটের দুপাশসহ গলা সাদা, চোখের ওপর দিয়ে উপুড়-তৃতীয়ার চাঁদের মতো সাদা ভ্রুরেখা খুবই সুন্দর। চোখের পাশটা জলপাই-লালচে। চোখের মণি কালো। পা ও পায়ের আঙুল কালচে-বাদামি। নখর কালো। লেজের অগ্রভাগের ওপরের অংশও কালো। এদের লকলকে-আঠালো ও কিছুটা ধারালো জিবটার রং পান্না-নীলচে। গ্রীষ্মকালে সব রংই ম্লান হয়ে যায়। পুরুষটির বুক-পেটের কালো রংও উধাও হয়ে যায়।
দলে চলা ও দলে থেকে খাবার অন্বেষণে এরা পরিকল্পনামতো এগোয়। অন্যান্য চর-মোহনাচর পাখিদের সঙ্গেও ঝাঁক বাঁধে। মূল চারণক্ষেত্র দ্বীপচর, সাগরসৈকত, কম জলের জলাভূমি, নদী-চর-হাওর-বাঁওড়-বিল-ঝিল ইত্যাদি। সাগর-নদীতে ভাটার টান লাগতেই পিলপিল পায়ে অসম্ভব দ্রুততায় এগোয় ও খাবার খোঁজে, সৈকতে জল ধেয়ে আসে, আবারও নেমে যায়, ধেয়ে আসে আবারও। মূল খাদ্য এদের নানান জাতের জলপোকা-লার্ভা-সাদা সুতোপোকা ও অন্যান্য পোকামাকড়। বালুও খায়, খায় লোনা মাটি। ভয় পেয়ে ঝাঁক বেঁধে ওড়ে যখন, তখন আকাশে পুঁটি মাছের ঝাঁকের মতো কাত হয় টলটলে জলের তলায় রুপালি ঝিলিক মারার মতো এই পাখিদের বুক-পেটে শীতের রোদের ঝিলিক দেখা যায়, সে দৃশ্য নান্দনিক-সৌন্দর্যে ভরপুর।
শীতের পরিযায়ী এই পাখিদের নাম ‘বাঁকাঠোঁট চা পাখি’। ফকিরহাট-বাগেরহাটে পরিচিত ‘রাঙাচ্যাগা’, ‘ঝিলিক চ্যাগা’ ও ‘পুঁটে চ্যাগা’ নামে। ইংরেজি নাম Dunlin। বৈজ্ঞানিক নাম calidris alpin। দৈর্ঘ্য ১৮-২৩ সেন্টিমিটার। ওজন গড়পড়তা ৪৫ গ্রাম।
যেসব দেশে বাসা করে এরা, সেখানে মাটিতে-ঘাসবনে-লতা-শিকড় দিয়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে চারটি। ডিম ফোটে ২০-২২ দিনে।

Learning


Homework


Sunday, March 25, 2018

ঝিনুক থেকে কয়েকটি শিক্ষা


ঝিনুক থেকে কয়েকটি শিক্ষা -
--------------------------------------------
(১) মুরগী ডিম দেয়। একটি ডিমের দাম মাত্র দশ টাকা। কিন্ত ডিম দিয়েই ‘খকখক’ আওয়াজ করে সারা বাড়ির লোকদের জানিয়ে দেয় সে ‘ডিম’ প্রসব করেছে।অথচ ঝিনুক। লক্ষ টাকার মুক্তো প্রসব করে।
নিরবে,নিভৃতে থাকে ।তুমি ঝিনুকের মত
দামি হতে চাও? ক্ষুদ্র আমল করে জাতিকে জানিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য মানসিকতা পরিহার কর।
(২) বৃষ্টির পানি দিয়ে ঝিনুকের পেটে তৈরি হয় মুক্তো। আর এই পানি গ্রহনের জন্য সে সময় বাছাই করে অমাবস্যার রজনী।
যখন চারিদিকে বিরাজ করে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তুমি মালিকের নৈকট্য চাও?ওঠে যাও শেষ রাতে। যখন দুনিয়ার তামাম মাখলুকাত ঘুমের ঘরে আচ্ছন্ন। লুটে পড়ে যাও সিজদায়।
(৩) ঝিনুক মাত্র এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অপেক্ষা করে। কখনো সে বিরক্ত হয়না। ধৈর্য হারাহয় না। তুমি জীবনে উন্নতি করতে চাও?’সবর’ কে গলার মালা হিসেবে গ্রহণ কর।
কখনো কোন কাজে বিরক্তির কোন ভাব যেন তোমার চেহারায় ফোটে না ওঠে।
(৪)ঝিনুক একফোঁটা বৃষ্টিজল নিয়েই
সে তৃপ্ত থাকে। তার হাজার ফোঁটার দরকার হয়না। তুমি জীবনে সুখী হতে চাও? ‘কানাআত’ তথা অল্পে তুষ্ট থাকো।কখনও হা-হুতাশ হয়ও না।

Sponsor