Tuesday, March 27, 2018

বৈশাখী সাজে ওরা


একসময় বৈশাখ মানেই ছিল মেলা। বৈশাখী মেলা। খোলা মাঠে থরে থরে সাজানো মাটির পুতুল, কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, হাওয়াই মিঠাই, বায়োস্কোপ আর নাগরদোলা। মা-বাবার হাত ধরে ছোট্ট শিশুর মেলাজুড়ে টইটই। ফেরার পথে এক হাতে মিছরির তৈরি একটা হাতি নয়তো ঘোড়া। গ্রামের দিকে টিকে থাকলেও শহুরে জীবনে এমন মেলা এখন বলতে গেলে উধাও। এই বৈশাখী মেলা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে শিশুদের, আর বায়নাও তাদের সবচেয়ে বেশি।

বিশেষ এই দিনটিতে বাড়ির ছোট সদস্যটিরও চাই রঙিন পোশাক। বৈশাখে শিশুকে কী পরাবেন, তা নির্ভর করবে অনেক কিছুর ওপর। কিন্তু কয়েকজন মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সন্তানের আরামকেই দিচ্ছেন প্রথম প্রাধান্য। আজকাল স্কুলগুলোতেই বৈশাখের অনুষ্ঠানে লাল–সাদা পোশাক পরতে বলা হয়। স্কুলের বেঁধে দেওয়া ড্রেস কোড অনুযায়ী সন্তানের বৈশাখের পোশাক কিনে ফেলতে পারেন। পয়লা বৈশাখ আর স্কুলের অনুষ্ঠানে আলাদা পোশাক পরাতে চান, তাহলে পয়লা বৈশাখের দিন বেগুনি, সবুজ, ম্যাজেন্টা, কমলা ও হলুদের মতো উজ্জ্বল রঙের সমন্বয়ে কোনো ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরাতে পারেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পোশাক হতে পারে শাড়ি বা সালোয়ার–কামিজ। ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, পায়জামা, ধুতি, টি-শার্ট বা ফতুয়া। চাইলে লুঙ্গিও পরাতে পারেন। এখন ফ্যাশনে সবাই চায় চলতি ধারা অনুসরণ করতে। তবে বড়দের ফ্যাশনে যত দ্রুত পরিবর্তন আসে ছোটদের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা নয়। বড়দের পোশাকের কিছু কিছু ধারাই বরং ঢুকে পড়ে শিশুদের পোশাকে। তবে শিশুদের পোশাকের ‘ট্রেন্ড সেটার’ মূলত মায়েরা। মা যেমন পোশাক পরাতে চান, শিশু তেমন পোশাকই পরবে। একজন মা-ই বোঝেন তাঁর শিশুকে কেমন পোশাক পরলে মানাবে, কোনটাতে তারা আরাম পাবে।

No comments:

Post a Comment

Sponsor