Tuesday, February 28, 2017

সহকর্মীর সঙ্গে বোঝাপড়া


কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি জরুরি। কীভাবে নিজেদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া রাখবেন তা জেনে নিন।

 
সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলেছে। বদলেছে চাকরির ধরনও। গৎবাঁধা দশটা-পাঁচটা চাকরির পাশাপাশি এখন লং ওয়ার্কিং আওয়ারে জবের তালিকাও ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে সহকর্মী বা কলিগরা। 
 
ব্রেকফাস্টে কী খেলে ভালো হয়, কোন্ উৎসবে কোন্ পোশাকটা লেটেস্ট ট্রেন্ড বা অফিসে কোন্ কাজটা আগে গুরুত্ব দেয়া উচিত- এসব আলোচনাতে আমাদের গাইড সহকর্মীরা। বুঝতেই পারছেন শুধু প্রফেশনাল নয়, এখন সহকর্মীদের সঙ্গে অনেকটাই পার্সোনালাইজড। কাজের জগতে এ সহকর্মীদের সঙ্গে বোঝাপড়াটা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সবার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা।
 
 নিজেদের সম্পর্কের জন্য কোনোভাবে যেন কাজে অসুবিধা না হয়, সবার আগে সেটা খেয়াল রাখা দরকার। পরের দিন প্রজেক্ট মিটিং রয়েছে, অথচ সহকর্মীর সঙ্গে সিনেমা দেখার প্লান করলেন, এটা ঠিক নয়। এমন পরিস্থিতিতে কাজের দায়িত্ব ও সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে কাজের জগতে আপনার সহকর্মী আপনার কতটা বন্ধু, কতটা কলিগ সেই সীমারেখাটা মেনটেইন করার দায়িত্ব আপনার। বন্ধু হিসেবে আপনি ইয়ার্কি বা গল্প করতেই পারেন; কিন্তু নিজের কাজের ওপর সেটার কুপ্রভাব যেন কখনোই না পড়ে। 
 
এ সীমারেখা মেনটেইন করতে আপনি খুব একটা দক্ষ না হলে সহকর্মীর সঙ্গে গল্প-গুজবের সময়ও অফিসের কাজ সংক্রান্ত বিষয়কেই বেশি গুরুত্ব দিন। হয়তো এজন্য আপনি সহকর্মীদের সব গোপন আলোচনায় প্রবেশাধিকার পাবেন না; কিন্তু একজন এফিশিয়েট ওয়ার্কার হিসেবে সবার সম্মান আপনি অর্জন করবেন। তাই কোন্ পথটা আপনি বেছে নেবেন, চয়েজ ইজ ইউরস।
 
দ্বিতীয়ত, মনে রাখুন প্রতিটি মানুষই আলাদা। তাদের পছন্দ-অপছন্দ, ভ্যালুজ সব মিলবে এমন কোনো কথা নেই। ব্যক্তিগতভাবে সহকর্মীরও কিছু ব্যাপার আপনার মনের মতো নাও হতে পারে, তাতে ক্ষতির কিছু নেই। আপনার সঙ্গে চিন্তার অমিল থাকতেই পারে। আসল কথা হল আপনার সহকর্মী কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও সহযোগী কিনা। কাজের ক্ষেত্রে তিনি কতটা সহায়ক সেটাই জরুরি। যদি সেখানে কোনো অসুবিধা হয় তাহল তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন।
 
সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার আর একটি উপায় হল কাজ ভাগ করে নেয়া। সব কাজের দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না। তাহলে আপনার সহকর্মী আপনার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে বেশি দেরি করবে না।

No comments:

Post a Comment

Sponsor