Tuesday, April 4, 2017

পাহাড়ে বৈসাবি মেলার বর্ণাঢ্য আয়োজন

শিগগিরিই শুরু হচ্ছে পাহাড়ের ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি তাই এখন পাহাড়ের আনাচে-কানাচে সর্বত্র সাজ সাজ রবের আমেজ বইছে  
ইতিমধ্যে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে বসনো হয়েছে বিভিন্ন স্টল। সবগুলো স্টল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাচাঙ ঘরের আদলে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি। আর এসব স্টলে স্থান পেয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংষ্কৃতি, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিভিন্ন পণ্য সমগ্রি।  
মেলাকে আকর্ষনীয় করার জন্য যোগ দেয়ার কথা রয়েছে অপর দুপার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ভারতের শিল্পীরা। আগামী ৬এপ্রিল থেকে শুরু হবে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা উৎসব। সেদিন বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধন করবেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ভারপাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা।  

তিনি জানান, পাহাড়ের ক্ষুদ্র ১০টি ভাষাভাষির ১১টি জাতিগোষ্ঠি তাদের নিজস্ব নিয়মে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু পালন করে থাকে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে বৈসাবী এক বৈচিত্রময় রূপ ধারন করে। তাই উৎসবটিকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে বিজু -সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা। মেলা ঘিরে পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিনত হবে। তাছাড়া মেলা চলাকালিন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলা উদ্বোধন করবেন- রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়। এসময় উপস্থিত থাকবেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা।  
এদিকে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলায় রাঙামাটি, বান্দরবান ভারত থেকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত নৃত্য পরিবেশন করবেন। এছাড়া রয়েছে শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, পাচন রান্না প্রতিযোগিতাসহ ম্যাহাজিন অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরণ, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

No comments:

Post a Comment

Sponsor