মার্কিন যুদ্ধজাহাজের একটি বহর কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী গত শনিবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া’
পারমাণবিক কর্মসূচির জবাবে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এ
পদক্ষেপ নিয়েছে। এই নৌবহরে যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের
এই ঘোষণায় আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা উত্তর কোরিয়ার
প্রতি একধরনের সতর্কবার্তা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও দেশটি পারমাণবিক
অস্ত্র তৈরির উচ্চাভিলাষ ছাড়েনি।
সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই
পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির এ উদ্যোগ নিল ওয়াশিংটন। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের
শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে উত্তর
কোরিয়া গত বৃহস্পতিবারই নিন্দা জানিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে
মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার ডেভ বেনহ্যাম বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের
পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি ও প্রস্তুতি বজায় রাখার অংশ হিসেবে কার্ল
ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানোর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই অঞ্চলের এক
নম্বর হুমকি হিসেবে উত্তর কোরিয়া তাদের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন ক্ষেপণাস্ত্র
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পারমাণবিক অস্ত্রের সামর্থ্য অর্জনের
প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন নৌবহরটি সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে চলেছে।
নিভৃতকামী
কমিউনিস্ট দেশ উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার
লক্ষ্যে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে। তারা এ পর্যন্ত
পাঁচবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যার মধ্যে দুটিই গত বছর
চালানো হয়। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত
দিয়েছেন, পিয়ংইয়ং তাদের ষষ্ঠ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি
নিয়ে থাকতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দুই
বছরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানার উপযোগী
পারমাণবিক অস্ত্র নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও
চীনের প্রেসিডেন্টের শীর্ষ বৈঠকের ঠিক আগে আগে গত বুধবার উত্তর কোরিয়া
একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে ছুড়ে মেরেছে। তারা গত
ফেব্রুয়ারিতেও একসঙ্গে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এর মধ্যে তিনটি
জাপানের সমুদ্রসীমায় পড়েছে। পিয়ংইয়ং বলেছিল, তারা প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ
কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোয় হামলার প্রস্তুতি হিসেবে ওই পরীক্ষা
চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র
সম্প্রতি বলেছে, পিয়ংইয়ংকে রুখতে তাদের মিত্র বেইজিংয়ের সহায়তা না পেলে
ওয়াশিংটন একতরফা ব্যবস্থা নিতে পারে।
No comments:
Post a Comment