সিরিয়ার বিমান
ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাশিয়া কেন প্রতিহত করেনি!
একের পর এক
মার্কিন মিসাইল যেভাবে
সিরিয়াতে আঘাত হেনেছে,
এরপরই এই প্রশ্নটাই উড়তে
শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন
উঠতে শুরু করতেই
নড়েচড়ে বসেছে মস্কো। রাশিয়ান একটি
সংবাদমাধ্যমে খবর, এ ঘটনার
পর রীতিমত সামরিক
বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া
করেছে দেশটির সরকার।
প্রকাশিত এই
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ায় অবস্থিত ‘হামিমিম’ ও
‘তারতুস’ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-ফোর হানড্রেড’ মোতায়েন রয়েছে।
কিন্তু রাশিয়া এই
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে
লাগায়নি।
আর এই
কারণে রাশিয়ার অনেক
নাগরিকই এই অবস্থানের বিষয়ে
প্রশ্ন তুলেছেন। আর
এর জবাবে রাশিয়ার অ্যাকাডেমি অব
মিলিটারি সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ সের্গেই সুদাকুফ দৈনিক
ইজভেস্তিয়াকে বলেছেন, রাশিয়ার ধৈর্যের কারণে
একটি পরমাণু যুদ্ধ
থেকে রক্ষা পেয়েছে
গোটা বিশ্ব। তিনি বলেন,
রাশিয়া যদি সেদিন
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংস
করতো তাহলে সিরিয়ায় রুশ-মার্কিন যুদ্ধ
শুরু হয়ে যেতো।
তবে হামলার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি
করেছে বলে তিনি
জানান। সুদাকুফ আরও বলেন, রাশিয়া যদি ধৈর্য না ধরতো এবং মার্কিন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের নির্দেশ জারি করতো তাহলে বড় ধরনের একটি যুদ্ধ এড়ানো কঠিন হতো। হয়তো পরদিন সকালে আমাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যেতো না। পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপর একজন রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সিরিয়ায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো কেবল রুশ স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়ার সামরিক অবস্থানগুলো রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়নি। সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
No comments:
Post a Comment