Saturday, January 7, 2017

স্পিনই তো খেলতে পারে না বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দলটা না আবার নতুন করে ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। তাদের টেস্ট দলে যে স্পেশালিস্ট স্পিনার একজনও নেই। তবে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অবসরের পর দলে সুযোগ পাওয়া মিচেল স্যান্টনার ‘ভেট্টোরি’ই হয়ে উঠছেন। অন্তত বাংলাদেশের বিপক্ষে।


নিউজিল্যান্ড অবশ্য বলতে পারে, স্যান্টনারই তো স্পেশালিস্ট। শুধু স্যান্টনার কেন, কেন উ​ইলিয়ামসনকেও তো স্পেশালিস্ট হিসেবেই ধরতে হবে। প্রতিপক্ষ যখন বাংলাদেশ, আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের যা রেকর্ড, তাতে এই দুজনের স্পিনই তো যথেষ্ট!

এই সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ শিবিরে দুটি ব্যাপার সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ও তাদের পেস আক্রমণ। এর আগে যে বাংলাদেশ প্রতিবার নিউজিল্যান্ড সফরে পেসের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। তবে পেস-পেস করতে গিয়ে বাংলাদেশ স্পিনের বিপক্ষেই ধুঁকছে। আজকের ম্যাচ হয়ে থাকল এর ভালো উদাহরণ। ইশ সোধির বল খেলতেই পারছিল না বাংলাদেশ। আর কেন উইলিয়ামসন তো বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন বোলিং করছেন, আরও বেশি কেন আক্রমণে আসছেন না, এটাই প্রশ্ন।

এখন পর্যন্ত চার ইনিংসে বোলিং করেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। প্রত্যেক ইনিংসেই উইকেট পেয়েছেন। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ১০.১৪ গড়, ৩.৭৩ ইকোনমি এই অফ স্পিনারের। টেস্টে নিজেকে আরও বেশি আক্রমণে নিয়ে আসতেই পারেন কিউই অধিনায়ক। উইকেট সংখ্যায় ওয়ান ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুটি মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন। ৭ উইকেট অবশ্য পেয়েছেন লকি ফার্গুসন আর স্যান্টনারও।

২ টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট সোধির। ওয়ানডেতে ছিলেন না, থাকলে উইকেট সংখ্যা আরও বাড়ত নিশ্চয়ই। স্পিনারদের রেকর্ডটাও আরও ভারী হতো। তবে এখন পর্যন্ত এই সফরের যা পরিসংখ্যান, তাতে পেস-পেস করতে গিয়ে স্পিনের ওপর থেকে মনোযোগ করে গেছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলা যায়।

এখন পর্যন্ত পেসাররা নিয়েছেন ২৯ উইকেট, স্পিনাররা ২০টি। যেখানে আটজন পেসার বল করেছেন ৭৫৫ ওভার, চারজন স্পিনার বল করেছেন অর্ধেকেরও কম—৩৫৯ ওভার। রান কিংবা ইকোনমির দিক দিয়েও স্পিনাররা ঢের এগিয়ে আছেন। স্পিনারদের গড় ১৭.৯৫। পেসারদের গড় সেখানে ২৬.০৩!

স্পিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ধুঁকতে থাকার বড় প্রমাণ আজকের ম্যাচটি। স্যান্টনারকে প্রথম ওভার করিয়ে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ হাত খুলে মারতে শুরু করল। ৬ ওভারে তুলে ফেলল ৬৯ রান। সপ্তম ওভারে সোধি আক্রমণে আসার পর চাপ তৈরি শুরু হলো বাংলাদেশের ওপরে। ৭ থেকে ১৩—এই ৭ ওভারে একটিও বাউন্ডারি নেই। এই সাত ওভারের ছয়টিই করেছেন স্পিনাররা। ম্যাচ এখানেই হেরে গেল বাংলাদেশ!

No comments:

Post a Comment

Sponsor