Friday, January 6, 2017

বুদ্ধির জায়গাতেই হেরেছে বাংলাদেশ


ক্রিকেট খেলতে কী লাগে? ব্যাট, বল...প্রতিভা। আর? বুদ্ধি, ‘কমন সেন্স’। মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন, এই বুদ্ধির জায়গাতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ।

 আজকের উইকেট, মাঠের আকার আর বাতাস ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যতটুকু প্রয়োজন ছিল, তাতে ছিল ঘাটতি। আর তাতেই হেরে গেছে দল।

আজ ৪৭ রানে ম্যাচ হারার পর অধিনায়ক বলেছেন, ‘একপাশে যেহেতু বাতাস ছিল, ওরা কিন্তু ওই পাশ দিয়েই মেরে খেলছিল। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল।’ সেটা বুঝে বাংলাদেশেরও সেভাবে বোলিং ও ফিল্ডিং করা প্রয়োজন ছিল মনে করেন মাশরাফি, ‘হয়তো বা আরেকটু নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলে, আরেকটু ইয়র্কার দিয়ে বৈচিত্র্য দিয়ে বোলিং করতে হতো। ওই পাশ দিয়ে আমরাও বেশ রান তুলেছি। অন্য পাশ দিয়ে বোলিং করাটা একটু কঠিন ছিল। উইকেটও ছিল মরা। আরেকটু ইয়র্কার বেশি করলে, আরেকটু বুদ্ধি করে বোলিং রানরেটটা হয়তো দশের নিচে রাখা যেত। তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো হতো।’

কিন্তু বাংলাদেশ তো ভালোমতোই ছুটছিল। হাতে ৬ উইকেট রেখে শেষ ৮ ওভারে দরকার ছিল ৮০ রান। মাশরাফি মনে করেন, সাব্বির-সৌম্য জুটিটা যেমন ম্যাচে ফিরিয়েছিল দলকে, দুজনের পরপর আউট হওয়াটা ডুবিয়েছেও, ‘এই উইকেটে ১৮০-এর মতো রান আগে নিয়মিত তাড়া করে জিতেছে দলগুলো। আমাদেরও আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো শুরু হলে সম্ভব।

উইকেট তিনটা হারিয়ে ফেললেও পাওয়ার প্লেতে ৫০-এর কাছে রান করেছি। এখানে আমাদের লক্ষ্য ছিল ৬০-৭০। মিডল অর্ডারের পরে যেহেতু আর মেরে খেলার মতো ব্যাটসম্যান নেই, এখানেই যা করার করতে হবে। আমরা ভালোমতো ছুটছিলামও। ৪৮ বলে ৮০ রানের মতো লাগত। কিন্তু পরপর দুই সেট ব্যাটসম্যান সৌম্য ও রুম্মান আউট হয়ে যাওয়াতেই সমস্যা হয়ে গেছে।’

টানা দুই ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফি অবশ্য মনে করেন না, ওখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে দল, ‘এই মাঠে ১৮০-র মতো স্কোর হয়ই। ওরা ১৫ রান বেশি করেছে। ওদের সেট ব্যাটসম্যান ছিল, ওরা সুযোগ নিয়েছে ঝুঁকি নিয়ে বেশি রান তোলার। এভাবেই তো আসলে ম্যাচ হাত থেকে সরে যায়। টি-টোয়েন্টিতে এক-দুই ওভারেই এমন হতে পারে। তবে বোলিংয়ে আমরা যদি বাতাসের হিসাব করে একটু প্ল্যানিং করে করতে পারতাম, তাহলেই ভালো হতো।’

ফিল্ডিংয়েও কি দল বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে? এখানেও আত্মসমালোচনা আছে মাশরাফির, ‘আমরা আসলে এই ধরনের মাঠে গ্যাপটা ঠিক করে নিতে পারিনি। ওরা যেখানে দুই রানের জায়গাটা কেটে দিয়েছে, এক রান হয়েছে। আমরা সেটা করতে পারিনি। ওখানেও ৫-৭-৮ রান বের করে নিয়েছে ওরা।’

সেঞ্চুরিয়ান মানরোকে থামাতেও আরও একটু পরিকল্পনার দরকার ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি। টানা ৫ হারের পর এই ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার প্রত্যাশা করছেন অধিনায়ক। শেষ ম্যাচ নিয়ে বড় কোনো আশার সুর নেই তাঁর কণ্ঠে, ‘দেখা যাক, বাকি ম্যাচগুলোতে কী করি।’

No comments:

Post a Comment

Sponsor