Monday, January 16, 2017
আপনি নিজেকে অযোগ্য ভেবে হতাশায় ভুগছেন ???
যে বয়সে আপনি নিজেকে অযোগ্য
ভেবে হতাশায় ভুগছেন, ঠিক তার
চেয়েও কম বয়সে মালালা ইউসুফজাই
নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে এনে
পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছেন।
আপনার চেয়েও কম বয়সে
সিরাজউদ্দৌলা বাংলার নবাব হয়েছিলেন।
গতবার চাকরিটি হয়নি
বলে যে আপনি আজ নিজেকে দুঃখি
ভাবছেন, সে আপনাকে ইতিহাস
দেখিয়ে দিচ্ছে বাংলা সাহিত্যের
আদি নিদর্শন "চর্যাপদ " আবিষ্কার
করতে গিয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে ও
২বার ব্যর্থ হতে হয়েছিল। যদি ২বারের
ব্যর্থতার পর ৩য় বার তিনি আর চেষ্টা
না করতেন, তবে তার পক্ষে "চর্যাপদ "
আবিষ্কার করা সম্ভব হতনা; তিনি এত
বিখ্যাত ও হতে পারতেন না।
আমি
বিশ্বাস করি মানুষের
শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই, সে ব্যর্থ হতে হতেই
শ্রেষ্ঠ হয়।
:
যে মুহুর্তে আপনি কালো হয়ে
জন্মানোর কারণে হীনমন্যতায় ভুগছেন,
ঠিক সে মুহুর্তে সাদা চামড়ার
মানুষের দেশ আমেরিকার
প্রেসিডেন্ট হয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব
দিচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ (কালো) প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা।
আপনার নাকটি একটু
চ্যাপ্টা বলে যে আপনি বিধাতার
সাথে অভিমান করেন, প্লাস্টিক
সার্জারি করতে যাচ্ছেন; ঠিক সে
মুহুর্তে চ্যাপ্টা নাকের লোকগুলোই
পুরো পৃথিবীকে পেছনে ফেলে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নিজদের দেশ
জাপানকে টপ লেভেলে নিয়ে
গেছে, হয়েছে পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্র।
একটু খাটো বলে যে আপনি হিল জুতা
পরে নিজের উচ্চতা বাড়াতে ব্যস্ত,
ঠিক সে মুহুর্তে আপনার চেয়েও খাটো
ব্যক্তি নেপোলিয়ন, বিদ্যাসাগর,
আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট নিজেদের
ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে
গেছেন।
কার এত সাধ্য আছে দৈহিক
উচ্চতা দিয়ে এই খাটো ব্যক্তিগুলোর
কৃতিত্তের উচ্চতাকে ছুঁতে পারে? যে
ঘটনায় আপনি চরম হতাশায় ভোগেন,
নিজেকে অযোগ্য ভাবতে শুরু করেন;
ইতিহাস খুঁজে দেখেন ঠিক একই ঘটনায়
কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বসে আছেন।
আপনার অযোগ্যতা শারীরিক গঠনে নয়,
দৈহিক অসৌন্দর্যে নয়, এমনকি আপনার
অযোগ্যতা কয়েকবার ব্যর্থতায় ও নয়;
আপনার মাঝে যদি কোনো অযোগ্যতা
থেকে থাকে তবে সেটি একমাত্র
"আত্মবিশ্বাসের অভাব "।
আপনি
নিজেকে অযোগ্য ভাবার মানেই হল
আপনি মহান রাব্বুল আলামিন এর বিপরীতে গিয়ে কথা
বলা, কারণ তিনি আপনাকে শ্রেষ্ঠ
জীব হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। শ্রেষ্ঠ
জীব কী করে অযোগ্য হয়!
:
আপনি ঠিক ততদুর পথ যাবেন যতদুর আপনি
দৌঁড়াবেন। জীবনের হিসেব এখানে
বেশ সহজ। যদি আপনি ভাবেন কীভাবে
এতদুর পথ পাড়ি দিবেন! সে মুহুর্তে
ইতিহাস স্বাক্ষ্য দিচ্ছে, উসাইন বোল্ট
২০০ মিটার দৌঁড়ে চ্যাম্পিয়ান হয়ে
স্বর্ণপদক ছিনিয়ে এনেছেন।
আমি
বিশ্বাস করি, যদি ব্যর্থতাকে
পাশ কাটিয়ে, হতাশাকে পেছনে
ফেলে একবার চ্যালেঞ্জ নিতে
পারেন তবে আপনিও একদিন হয়ে
যাবেন ইতিহাসের কিংবদন্তী।
আপনার আজকের ছোট একটি স্বাক্ষর ও
একদিন হয়ে যাবে বহু আকাঙ্ক্ষিত
মানুষের প্রিয় অটোগ্রাফ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment