Saturday, January 14, 2017

এবার তাসকিনের ‘সেঞ্চুরি’

চতুর্থ দিনের সকালটা একদমই ভালো গেল না তাসকিন আহমেদের। দিনের প্রথম স্পেলে কোনো উইকেট পাননি, উল্টো নাম লিখিয়েছেন অস্বস্তিকর এক রেকর্ডে। নিজের ২০তম ওভারের তৃতীয় বলেই ‘সেঞ্চুরি’ ছুঁয়েছেন তাসকিন।
এই টেস্টে এর আগেই নিউজিল্যান্ডের তিন পেসার ‘সেঞ্চুরি’ করে ফেলেছেন। তাসকিন তাই এ ক্ষেত্রে সঙ্গী পাচ্ছেন এ ‘কীর্তি’তে। আর ব্যাটিং স্বর্গে রূপ নেওয়া বেসিন রিজার্ভ এখনো পর্যন্ত যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, খুব দ্রুতই আরও দু-একজন সতীর্থকে পেয়ে যাবেন অভিষিক্ত পেসার। চতুর্থ দিনের উইকেটেও কোনো ভাঙনের চিহ্ন নেই। প্রথম দিনে দেখা যাওয়া ঘাসগুলো যে ‘ওয়াল পেপার’ নয়, ‘স্ক্রিন সেভার’ ছিল সেটা তো দ্বিতীয় দিনেই দেখিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম। শুধু সাকিবই মাঝে মধ্যে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অস্বস্তি জাগাচ্ছেন।
বেসিন রিজার্ভের এমন বদলে যাওয়া রূপের কোপটা পরেছে তাসকিনের ওপর। অন্য দুই পেসার তবু নিউজিল্যান্ডের রান উৎসব কিছুটা সামলে নিতে পেরেছেন। কিন্তু তাসকিন ২০ ওভারে দিয়েছেন ১০০ রান। এই পেসারের পর ‘সেঞ্চুরি’ হতে পারে মিরাজেরও। গতকাল দলের প্রথম ইনিংসে ইতিহাসের প্রথম স্পিনার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বোলিং ওপেন করার রেকর্ড গড়া মিরাজ মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত দিয়েছেন ৯৮ রান। তাসকিন তবু একটা উইকেটে তুলে নিয়েছেন, মিরাজের সে সান্ত্বনাও নেই। মজার ব্যাপার এই মাঠে তাঁদের ৯ বছর আগেই বোলিংয়ে ‘সেঞ্চুরি’ পেয়েছেন আরেকজন। ২০০৮ সালের সে টেস্টে মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০০ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডে মাশরাফির ১০০ রান দেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। ২০০১ সালে নিজের প্রথম সফরে হ্যামিল্টনেও ঠিক ১০০ রান দিয়েছিলেন মাশরাফি। সেদিন অবশ্য ৩ উইকেট পেয়েছিলেন ‘ম্যাশ’। ওই টেস্টেই ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন আরেকজন। ১১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন মোহাম্মদ শরীফ। তবে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি ১০০ রান দেওয়ার সে রেকর্ডটি ২০১০ সালেই ভেঙেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ২০১০ সালে ওই হ্যামিল্টনেই বোলিংয়ে ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও শফিউল ইসলাম। সেদিন ১৬৬ রান দিলেও টেস্টে প্রথম ও এখনো পর্যন্ত শেষবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন রুবেল।
আজ মধ্যাহ্ন বিরতির পর নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করতে না পারলে সে রেকর্ড হয়তো নতুন করেও লেখা হতে পারে!
source:prothomalo

No comments:

Post a Comment

Sponsor