নেইমারকে সামলানোর কোনো উপায় যে নেই তা আগেই জানতেন অস্কার তাবারেজ।
কিন্তু পাউলিনহো যে এভাবে জ্বলে উঠবেন তা কি করে জানবেন উরুগুয়ের কোচ!
নেইমারকে আড়াল করে ব্রাজিলের জয়ের নায়ক চীনের ক্লাব গুয়াংঝু এভারগ্রান্দের
এই মিডিফল্ডার।
নেইমারকে আটকানো নিয়ে ম্যাচের আগেই অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছিলেন উরুগুয়ের
কোচ তাবারেজ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে নেইমার উরুগুয়ের রক্ষণে কাঁপনও ধরিয়েছেন।
তবে রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার প্রান্তে নিয়ে যেতে মূল ভূমিকা
রেখেছেন পাউলিনহোই।
এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার গোল
ছিল মাত্র একটি। উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলকে ৪-১ ব্যবধানে জেতাতে আজ
শুক্রবার একাই তিন গোল করলেন পাউলিনহো।
ব্রাজিল আর আগের সেই ব্রাজিল নেই, এই আক্ষেপ ব্রাজিলের সমর্থকদের অনেক
দিনের। পেলে-গারিঞ্চা বা জিকো-সক্রেটিসদের যুগের সেই জোগো বনিতো ফিরে
পাওয়ার আশা মানুষ অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের
ফুটবলের শিরা-উপশিরায় থাকা জয়ের নেশাটাও। তিতের অধীনে জয়ের সেই নেশাটা ফিরে
পেয়েছে ব্রাজিল। উরুগুয়ের বিপক্ষে আজ যেন আরেকবার তা দেখালেন নেইমাররা।
তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা সপ্তম জয়ের আনন্দে ভাসল ব্রাজিল।
আট মিনিটে এডিনসন কাভানির পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। স্বাগতিক
গ্যালারিতে তখন উৎসবের ঢেউ উছলে পড়ছে। কিন্তু গোল খেয়ে যেন জেগে ওঠেন
নেইমাররা। আর সেই জেগে ওঠার ফলও পেয়ে যান দ্রুতই। ২০ মিনিটে ব্রাজিলকে
সমতায় ফেরায় ২৫ গজ দূর থেকে পাউলিনহোর বুলেট গতির শট। উরুগুয়ের সীমানায় বল
পেয়ে দারুণ এক পাস দিয়ে গোলটিতে অবদান রাখেন নেইমার।
গোল পেয়ে যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন নেইমার-দানি আলভেজরা। উরুগুয়ের
রক্ষণকে ব্যস্ত করে তোলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জায়গায় খেলতে নামা ফিরমিনোও।
গোল খেয়েও অবশ্য দমে যায়নি স্বাগতিকেরা। ব্রাজিলের রক্ষণেরও কঠিন পরীক্ষা
নেন কাভানি-রোলানরা। গোলরক্ষক আলিসনের দুটি অসাধারণ সেভের কল্যাণেই ১-১
গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যেতে পারে ব্রাজিল।
No comments:
Post a Comment