Thursday, March 16, 2017

জিনদের পানাহার,বিয়েশাদী,সন্তান- সন্তুতি

কাজী আবু ইয়ালা বলেন , জিনেরা মানুষের ন্যায় পানাহার করে , পরস্পর বিবাহ- শাদীতে আবদ্ধ হয় । সকল প্রকার জ্বিনই এই বিধানের অন্তরভূক্ত । এ ব্যাপারে কোন কোন মনীষী মত বিরোধও করেছেন । মনীষীদের কেউ কেউ মত প্রকাশ করেন যে, জিনেরা ঘ্রান নিলেই তাদের পানাহার হয়ে যায় তবে এ কথার  কোন দলীল নেই।

আবার আরেক  দল আলেম বলেন যে , জিনদের একদল খায় পান করে আরেক দল এর ধার  ধারেও না ।
হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (র.) –কেউ  প্রশ্ন করল যে, জিনেরা কি পানাহার ও বিয়েশাদী করে মারা  যায় ?
জবাবে তিনি বলেন, তারা কয়েক প্রকার । এদের কেউ কেউ বাতাসের ন্যায় । তারা না খায় না পান করে আর না মারা যায় না তারা সন্তান প্রসব করে ।

তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ আছে পানাহার করে, মৃত্যুবরণ করে , পরস্পরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারাই হলো ভূত –পেত্নী , দৈত্য- দানব এবং ওরা খুবই অসভ্য । তাবেঈ ইয়াজিদ ইবনে জাবির (র.) বলেন সমস্ত মুসলমানদের ঘরের ছাদে মুসলমান জিন বসবাস করে ঘরের বাসিন্দারা যখন আহার করে তখন তারা ছাদ থেকে অবতরণ করে তারাও খানা খায় । তাদের মাধ্যেমে আল্লাহ তায়ালা দুষ্ট প্রকৃতির জিন থেকে মুসলমানদের রক্ষা করেন ।

জিনদের খাদ্যদ্রব্য

হযরত আলকামা (র.) বলেন , আমি ইবনে মাসউদ (র.)- কে জিজ্ঞেস করলাম যে , আপনাদের মধ্যে কেউ কি ‘‘ লাইতুল জিন ’’ ও হুজুর (স.) এর সঙ্গে ছিলেন ? ইবনে মাসউদ (র.)- বলেন , সেখানে আমরা কেউ ছিলামনা বটে তবে আমরা এক রাত হুজুর (স.) কে মক্কায় অনুপস্থিত পেয়েছিলাম ।হুজুর (স.) কাফেরদের আয়ত্তে চলে এসেছিলেন তাই তিনি দ্রুত সরে পড়েন । সে রাতে আমরা সকলেই খুবই উৎকন্ঠায় কাটিয়েছিলাম । সকালবেলা দেখা গেল হুজুর (স.) গারে হেরার দিক থেকে আগমণ করছেন । সাহাবায়ে কিরাম হুজুর (স.)- এর অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে হুজুর (স.)- বলেন –
অর্থাৎ : আমার নিকট এক জিন এসে আমাকে দাওয়াত দেয় এবং আমি তার সাথে চলে গিয়ে তাদের সকলকে পবিত্র কুরআর পাঠ করে শুনাই । তারপর হুজুর (স.)- আমাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের অবস্থান দেখান এবং তাদের আগুনের চিহ্ন দেখান । জিনেরা হুজুর (স.)- এর নিকট কিছু পথ খরচ চায় । যেহেতু তারা কোন এক দ্বিপের বাসিন্দা ছিল ।

তখন হুজুর (স.)বলেন –
অর্থাৎ: যে সমস্ত হাড্ডিতে আল্লাহর নাম লওয়া হয়েছে ( জবাই করার সময় যে  সমস্ত প্রাণীর উপর আল্লাহর  নাম লওয়া হয়েছে ) সেগুলো তোমাদের খাদ্য । যে  সমস্ত হাড্ডিতে গোস্ত লাগানো আছে এবং সকল প্রকার গোবর তোমাদের খাদ্য ।
মুসলিম শরীফে বর্ণীত হুজুর (স.)বলেন –
অর্থাৎ: হাড্ডি এবং গোবর দ্বারা ইস্তেনজা করো না কেননা এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাদ্য ।
হযরত আবু হুরাইরা (র.)হতে বর্ণীত  একদা নবী করীম (স.) তাকে (আবু হুরাইরা কে ) বলেন , আমার জন্য কিছু পাথর খুঁজে নিয়ে এসো আমি ইস্তেনজাতে যাব । হাড্ডি এবং গোবর এনো না । আমি নিবেদন করলাম হাড্ডি এবং গোবরের বিশেষত্য কি ? হুজুর (স.) বলেন , এ দুটি বস্তু ‍জিনদের খাদ্য । নছীবাইন এলাকা থেকে আমার নিকট জিনদের এক প্রতিনিধি এসেছিল । তারা ছিল সৎ । তারা আমার নিকট রাহা খরচ চায় । আমি তখন তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেছিলাম যে , তোমরা যে কোন হাড্ডি বা গোবরের নিকট দিয়ে গমন করলে এগুলো তোমাদের খাদ্য হিসেবে তৈরী হতে পার ।

হুজুর (স.)-এর নিকট এক জিনের (Appeal)আবেদন

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, একদা আমি হুজুর (স.)-এর পাশে উপস্থিত ছিলাম এমন সময় হুজুর (স.)-এর নিকট সর্প এসে তাঁর এক পাশে দাঁড়িয়ে গেল আমি উহাকে হুজুর (স.)-এর আরো কাছাকাছি নিয়ে গেলাম । সাপটি হুজুর (স.)-এর কর্ণ মোবারকের কাছে গিয়ে কি যেন কানাকানি করে বলতে লাগল । হুজুর (স.) তখন বলেন ঠিক আছে । এরপর সে চলে গেল । আমি হুজুর (স.)-কে জিজ্ঞেস করলাম সে কি বলে গেল ? হুজুর (স.)তখন বলেন সে ছিল জিনদের এক পুরুষ। সে বলে গেল যে আপনি আপনার (মানুষ) উম্মতকে বলুন যে , তারা যেন হাড্ডি ও লেদা (গোবর) দ্বারা ইস্তেনজা না করে । কেননা আল্লাহ তায়ালা এগুলো আমাদের খাদ্য বানিয়ে রেখেছেন ।

হুজুর (স.)-এর সাথে জিনদের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ এবং তাদের খাদ্য নির্বাচন

হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন , হিজরতের পূর্বে হুজুর (স.) একদা মক্কার অনতিদূরে কোন স্থানে গমন করেন । আমিও সাথে ছিলাম । হুজুর (স.)আমার চারপাশে একটি রেখা টেনে দিলেন এবং বলেন , আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই রেখার ভিতর থেকে বের হতে পারবে না এবং কারো সাথে কোন কথা বলতে পারবেনা । অতঃপর হুজুর (স.) বললেন , তুমি যাকে দেখবে তাকে মোটেই ভয় পাবে না । অতঃপর হুজুর (স.) একটু সম্মুখে অগ্রসর হয়ে বসে গেলেন । দেখা গেল হুজুর (স.)- এর সামনে বেশ কিছু কাল কাল লোক এসে জড়ো হল । মনে হল তারা য্বিত গোত্রের লোক । তাদের আকৃতি এমন ছিল যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান –
অর্থাৎ : তখন অনেক জিন এসে তার কাছে ভীড় জমাল ।
তারপর তারা চলে গেল । যাবার সময় তাদের এই কথা আমি বলতে শুনলাম যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমাদের বাসস্থান এখন থেকে অনেক দূর । এখন আমাদের চলে যেতে হবে। তাই আমাদের কিছু রাহা খরচের ব্যবস্থা করুন ।  হুজুর (স.) বলেন ,তোমাদের খাদ্য – গোবর এবং তোমরা যেকোন হাড্ডির নিকট যাবে তাতেই গোস্ত পাবে । আর তোমরা যখন গোবরের নিকট যাবে তখন এগুলো খেজুর হিসেবে পাবে । তারা চলে গেল আমি আরয করলাম তারা কারা ? হুজুর (স.)  বলেন তারা নছীবাইন এলাকার জ্বিন ছিল ।

জিনদের বিয়ে-শাদী

জিনেরা পরস্পর বিয়ে শাদী করে এবং তাদের সন্ততিও জন্মায় । যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান-
অর্থাৎ: তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছ? অথচ তারা তোমাদের  শত্রু ।
শব্দ দ্বারা বোঝা যায় যে,শয়তানদের (জিনদের ) সন্তান-সন্তুতি ও বংশধর আছে । হযরত সালমান ফারেশী (রা.) বলেন , নবী করিম  (স.) তাকে উপদেশ দিয়ে বলেন তুমি তাদের মধ্যে থেকে হয়ো না যারা সবান আগে বাজারে প্রবেশ করে অথবা যারা সবার শেষে বাজার থেকে বের হয় । কেননা বাজার এমন জায়গা , যেখানে শয়তান ডিম বাচ্চা প্রসব করে  রেখেছে । এ থেকেও জানা যায় যে, ডিম থেকে শয়তানের বংশ বৃদ্ধি পায়। আর বংশ বৃদ্ধির জন্য বিবাহ – শাদী একান্ত আবশ্যক । আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান-
অর্থাৎ : এই জান্নাতী লোকদের পূর্বে তাদের কে কোন মানুষ স্পর্শ করেনি ।
উল্লেখিত আয়াতে ব্যাখ্যা হল নেককার মানুষের ন্যায় নেককার জিনেরাও বেহেশতে যাবে। সেখানে পুরুষ মানুষের জন্য নারী মানুষ পুরুষ জিনের জন্য নারী জিন হবে । আয়াতের বক্তব্য হল এ সমস্ত রমণীগণকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি । উল্লেখিত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, জিনেরা সহবাসও করে ।

জিনদের সন্তান সন্তুতি অসংখ্য

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা মানুষ ও জিনকে দশভাগে ভাগ করেছেন । এর মধ্যে নয় ভাগই জিন আর মাত্র এক ভাগ মানুষ । মানুষের একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করলে জিনের সন্তান হয় তখন ৯ টি ।
হযরত ছাবিত বলেন যে, আমার নিকট বর্ণিত হয়েছে যে, ইবলিস বলেছিল  হে আল্লাহ আপনি আদমকে সৃষ্টি করবেন এবং আমার ও তার মধ্যে বৈরীতাও সৃষ্টি করবেন । আমাকে তার উপর প্রভাবশালী করে দিন । আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান মানুষের বক্ষ হল তোর বাসস্থান । শয়তান বলল হে আল্লাহ আরো একটু বাড়িয়ে দিন । আল্লাহ পাক বলেন মানুষের কোন সন্তান না হলেও তোর ১০ টি সন্তান হবে । শয়তান বলল হে পরওয়ারদিগার আরোও বৃদ্ধি করুন আল্লাহ তায়ালা বলেন  তাদেরকে তুই দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করবি এবং তাদের ধনসম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে তুই অংশীদার হয়ে যা ।

শয়তানের ডিম

হযরত শা’বী (রা.) বলেন শয়তান পাঁচটি ডিম দেয় । এ থেকেই তার সকল সন্তান জন্মগ্রহণ করে । তিনি আরোও বলেন শয়তান একজন মুমিনকে পথভ্রষ্ট করতে রবিয়া ও মুযার গোত্রের রোকের চেয়েও অনেক বেশি লোকের সমাগম ঘটায় ।

জিনের সাথে মানুষের বিয়ে

জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের বিয়ে শাদী হতে পারে । উভয় জাতের মিলনে সন্তানও হতে পারে । যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান –
অর্থাৎ : (হে শয়তান ) তাদের অর্থ সম্পদ ও সন্তান সন্ততি শরীক হয়ে যা। প্রশ্ন হতে পারে মানুষের সম্পদ ও সন্তানের মধ্যে শয়তান কিভাবে শরীক হবে ? এ প্রশ্নের জবাবে ইবনে আব্বাস (রা. ) বলেন ধন – সম্পদ হারাম পন্থায় উপার্জন করা অথবা হারাম কাজে ব্যয় করাই হচ্ছে ধন সম্পদে শয়তানের শরীকানা । সন্তান সন্ততির মধ্যে শয়তান কয়েকভাবে শরীক হতে পারে । সন্তান অবৈধ ও জারজ হলে, সন্তানের মুশরিক সুলভ নাম রাখা হলে , তাদের লালন – পালনে অবৈধ পন্থায় উর্পাজন করলে । হযরত মুজাহিদ বলেন , কোন মানুষ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং তখন বিছমিল্লাহ পড়ে না তখন দুষ্ট জিন পেশাবের ছিদ্রপথে বসে যায় এবং পুরুষের সাথে সেও সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়ে । ইহাকেই বলা হয়েছে শয়তান তোমাদের সন্তান সন্ততিতে শরীক হয় ।

রাণী বিলকিসের পিতা ছিল জিন

কথিত আছে যে রাণী বিলকিসের পিতামাতার একজন ছিল জিন । ইবনুল কালবী বলেন তাঁর পিতা জিন মহিলা বিয়ে করেছিল । তার নাম ছিল ‘‘রায়হানা বিনতে সুকান’’ । তার ঘরে বিলকিছের জন্ম । তার নাম রাখা হয় বিলকামাহ । কথিত আছে যে , বিলকিসের পায়ের অগ্রভাগ চতুষ্পদ জন্তুর মতো ছিল । আর তার পায়ের গোছাতে পশম ছিল । হযরত সুলায়মান (আ.) তাকে বিয়ে করে জিনকে আদেশ করেছিলেন যে , বিলকিসের পায়ের এই অবস্থা স্বাভাবিক করে দাও ।
আল্লামা সুয়ূতী (র.) বলেন হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী  করিম (স.) এরশাদ ফরমান –
অর্থাৎ : বিলকিসের পিতামাতা যে কোন একজন জিন ছিল । হযরত মুজাহিদ বলেন সাবা’র রাণী বিলকিসের মা ছিল জিন । হযরত  যুহাইর ইবনে মুহাম্মদ (র.) বলেন , বিলকিসের মা ছিল ফারিয়াহ জিন ।
হযরত ইবনে জুরাইজ বলেন বিলকিসের মা ছিল ‘‘বিলফানাহ’’ ।
হযরত ওসমান ইবনে হাসির বলেন , বিলকিসের মা ছিল জিনদের অন্তর্ভূক্ত এবং তার নাম ছিল বিলকিমা বিনতে সীছান ।
ইবনে আসাকির এক জিন থেকে বর্ণনা করেন যে , রাণী বিলকিস সর্ম্পকে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে (জিন) জানাল যে,তাঁর পিতামাতা  কোন একজন জিন ছিল কিনা ? সে বলল , জিনেরা সন্তান দেয় না । অর্থাৎ মানুষ নারী জিনের সহবাসে সন্তান দিতে পারে না ।

জিন ও মানুষের মধ্যে বিয়ের ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের মতভেদ

ইমাম মালেক (র.)-এর মতামত

বর্ণিত আছে যে, একদা ইয়ামনের কতিপয় রোক জিনের সাথে বিয়ে জায়েয  নাজায়েয ব্যাপারে প্রশ্ন লিখে ইমাম মালেক (র.)- এর নিকট প্রেরণ করে বলা হয় যে, জনাব আমাদের এখানে একজন জিন পুরুষ আছে সে আমাদের এক বালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে । এবং বলছে যে , আমি হালালের প্রত্যাশী ।
ইমাম মালেক (র.) তাদের প্রশ্নের জবাবে লিখেন যে, এ ব্যাপারে আমি ধর্মে কোন ক্ষতির কারণ দেখতে পাচ্ছি না । কিন্তু । আমি তাও ভালো মনে করছি না  যে, মহিলা যখন গর্ভবতী হবে এবং লোকে তাকে জিজ্ঞেস করবে যে, তোমার স্বামী কে ? তখন সে বলবে যে, আমার স্বামী জিন তাহলে এভাবে ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে ।

হযরত কাতাদাহ ও হাসান  বসরী (র.)-এর মতামত

হযরত উকবা আর রাওমানী (র.) বলেন আমি হযরত কাতাদাহ (র.)- কে জিনের সাথে বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি মাকরূহ বলে অভিমত প্রকাশ করেন । হযরত  হাসান (র.)- কেও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনিও তা মাকরূহ বলে অভিমত প্রকাশ করেন ।
হযরত উকবাহ ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন এক ব্যক্তি হযরত হাসান ইবনে আবুল হাসান (র.)-এর নিকট এসে নিবেদন করল যে হে আবু সাইদ আমাদের এখানে একজন জিন পুরুষ আছে সে আমাদের এক বালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে । এবং বলছে যে , আমি হালালের প্রত্যাশী ।
হযরত হাসান বসরী বলেন তার নিকট বিয়ে দেয়া যাবে না  এবং তাকে সম্মান দেখানো যাবে না । অতঃপর  লোকটি হযরত কাতাদাহ (র.) এর নিকট এলো  এবং নিবেদন করল যে হে আবুল খাত্তাব , আমাদের এখানে একজন জিন পুরুষ আছে সে আমাদের এক বালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে ।  তিনি বলেন  তোমরা  তার নিকট বিয়ে দিও না  । কিন্তু সে যখন তোমাদের নিকট আসে তখন তাকে বলে দিবে যে, আমরা তোমার উপর আক্রমণ করব । তুমি মুসলমান হয়ে থাক তাহলে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাও। আমাদের কষ্ট দিওনা । রাত হলে পরে সে জিনটি এসে দরজাতে দাঁড়িয়ে বলতে লাগল যে, তোমরা হাসান বসরীর  নিকট গিয়ে বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা করতে নিষেধ করে দিয়েছেন । তিনি আরো বলেন যে, আমাকে যেন সম্মান করা না হয় । তার পর তোমরা   কাতাদাহ (র.) এর নিকট গিয়েছিলে । তিনিও বিবাহের ব্যাপারে অমত প্রকাশ করেছেন । তিনি আরো বলেছেন যে, তোমরা যেন আমার উপর আক্রমণ কর । এবং তিনি আরো বলেন যে , আমি মুসলমান হলে তোমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাই এবং তোমাদেরকে যেন কষ্ট না দেই । একথা বলে সে চলে গেল এবং আর কোন দিনও আসেনি আর কষ্টও দেয়নি ।
হানাফী মাযহাব মতে জিন এবং সামুদ্রিক মানুষের সাথে বিবাহশাদী জায়েয নেই।

No comments:

Post a Comment

Sponsor